বহুল আলোচিত-সমালোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ও চার কমিশনারের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ সোমবার । রোববার রাতে বিদায়ী কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

পাঁচ বছরের সফলতা তুলে ধরতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এদিন নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইসি সচিবালয় ত্যাগ করবেন কমিশনের সদস্যরা।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেন। পাঁচ বছর মেয়াদ আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি কাজ করছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন কমিশন গঠন না হওয়ায় কয়েক দিন কমিশনার পদ ফাঁকা থাকছে।

সূত্রমতে, এ কমিশন পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ছয় হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছে। সম্প্রতি চার হাজার ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট করেছে। এ ছাড়া আইন সংস্কার, প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম শুরু, স্মার্টকার্ড প্রদান, ভোটে ইভিএম প্রযুক্তির ব্যবহার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ আরপিওর বাংলা পাঠ এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন প্রণয়ন করেছে।

নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া, বক্তৃতার নামে টাকা নেওয়া, আরপিও থেকে প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতাসম্পন্ন ধারা ৯১ই বাদ দেওয়ার উদ্যোগ ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে পুরো মেয়াদেই বিতর্ক ও সমালোচিত ছিল।

তবে এই কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও এগুলো মানতে রাজি নন সিইসি। নির্বাচনে সহিংসতার দায়ও নিতে নারাজ তিনি।

রোববার নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি নিজেকে সফল দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। সব নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটি নির্বাচনও বাকি রাখিনি।

 

কলমকথা/বিসুলতানা